সততার উপর অবিচল থাকার দোয়া

হিজরতের সময় অবতীর্ণ একটি আয়াত। যখন নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা থেকে বের হয়ে মদিনায় প্রবেশ করার সময়ে উপনীত হয়েছিলেন। আয়াতটিতে সত্যের উপর অবিচল থাকার, সত্যের উপর মৃত্যু হওয়ার, সত্যের উপর কেয়ামতের দিন উঠার প্রার্থনা ছিল। নবিজী দোয়াটি পড়লেন। সাহাবায়ে কেরামকে শোনালেন। উল্লেখিত বিষয়গুলোতে সততার সঙ্গে অবিচল থাকার একটি কার্যকরী দোয়া এটি-

رَّبِّ اَدۡخِلۡنِیۡ مُدۡخَلَ صِدۡقٍ وَّ اَخۡرِجۡنِیۡ مُخۡرَجَ صِدۡقٍ وَّ اجۡعَلۡ لِّیۡ مِنۡ لَّدُنۡکَ سُلۡطٰنًا نَّصِیۡرًا

উচ্চারণ : ‘রাব্বি আদখিলনি মুদখালা ছিদক্বিও ওয়া আখরিঝনি মুখরাঝা ছিদক্বিও ওয়াঝআললি মিল্লাদুংকা সুলত্বানান নাছিরা।’

অর্থ : ‘হে আমাদের প্রভু! আমাকে প্রবেশ করান সত্যের সঙ্গে এবং আমাকে বের করান সত্যতার সঙ্গে আর আপনার কাছ থেকে আমাকে দান করুন সাহায্যকারী শক্তি।’ (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ৮০)

হিজরতের কঠিন বিপদ ও অসহায় অবস্থার সময় মহান আল্লাহ তাআলা নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এই দোয়া শিক্ষা দেন। মক্কা থেকে বের হওয়া থেকে শুরু করে মদিনায় পৌঁছা পর্যন্ত সমূহ বিপদাপদ থেকে নিরাপদ থেকে সফর সম্পন্ন হয়।

হজরত ক্বাতাদাহ রাদিয়াল্লাহ আনহু জানতেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আাঁচ করতে পেরেছিলেন যে, শত্রুর চক্রান্তের বেড়াজালে অবস্থান করে রিসালাতের কার্যক্রম পরিচালনা করা অসম্ভব। তাই তিনি মক্কা থেকে হিজরত কালে আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন।

সুতরাং মুসলিম উম্মাহর উচিত, সব ধরনের সাহায্য-ই শুধু আল্লাহ তাআলার কাছে চাওয়া। হোক ব্যক্তিগত, পারিবারিক, রাষ্ট্রীয় কিংবা পরকালীন সাহায্য।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর কাছে শক্তি ও সাহস পাওয়ার তাওফিক দান করুন। কোরআনের দোয়া জীবন সাজানোর তাওফিক দান করুন। আমিন।

We will be happy to hear your thoughts

Leave a reply